একক কবিতা সন্ধ্যা ।। সুনীল মাজি

IMG 20230414 WA0053 

সুনীল মাজি-র এক গুচ্ছ কবিতা 

 
আমরা যখন নদী থেকে সমুদ্র 
 
 
এক
 
এইমাত্র এক মধ্যরাতে স্নান করতে গিয়ে আমি ডুবে গেলাম।
আমার শরীর হারিয়ে গেল-- আদৌ কি পোশাক পরেছিলাম আমি? 
কি রঙ? কোনও কাপালিকের রক্ত?
বড়ই গা ঘিন ঘিন করছিল আমার--এত ইউরিন গন্ধ এত কফ কাশি এত পিচ্ছিল ছিল পথ 
চাঁদের আলো সূর্যের কিরণ হঠাৎই হারিয়ে ফেলল রঙ আমার শরীর । 
আমার সারা শরীর ঘা--আমার সারা জীবন কর্কট, আত্মা বলে যে আমার আবহ পরিবেশ,  
এক আশ্চর্য পরাগ গন্ধে ভেসে এল প্রাগৈতিহাসিক কাল  
এক আদিম জননীর গর্ভ থেকে আমি হঠাৎই পিছলে গেলাম।
কে আমার রূপের কাঙাল--কে আমাকে ধাক্কা দিল? এই স্নান তবে কি কোনও আশ্চর্য ছলনা? 
আমি কোনও নোংরা পোশাক ধুয়ে ধুয়ে আর পরব না?
ফুল নয় পাতা নয় ঋতুতে ঋতুতে কেবল যৌবনের গন্ধ নয়,
এ শরীর চন্দনে জীবন চন্দন--বলো কার শেকড়? তুলসী মূল দেব তোমার জন্ম লগ্নে? 
নদী নাও --আমার বিশ্বাস শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে তোমাকে আর ধূপ জ্বালতে হবে না।
শরীর কখনও বৃদ্ধি করে না রূপ-বাহার--কথা কখনও জন্ম দেয়না রূপকথা।
কোনও ফুলের মালা সারা শরীরে জড়িয়ে ধরলে তুমি বৃক্ষের ফুলশয্যা নও।
পদে পদে এত কমা এত দাঁড়ি এত কোলন এত ঘাট
আমি পাড় ধরে আর কোনও তরী ভাসাব না।
আমি যাব মধ্যগাঙ--আর কোনও দিক চক্রবালের পরিধি ধরে আমি হাঁটব না।
আমি আলো ফেলব বুকে কপালে--তারপর মাথার উপর দিয়ে--আহা, দিন হবে উজ্জ্বল চাঁদ। 
না না আলো নয়-- আলোর জোয়ার নয়, ধরো রশ্মির গাঙ  শিল্পীর তুলিতে ভেসে যাব।
 
 
দুই
 
আমি রাস্তাকে টেনে ধরে বলি, একটা পথ হও,
গাছকে টেনে ধরে বলি, একটা বৃক্ষ  হও।
কন্যাকে বলি, যদি নারী হও, তবে তুমি যুবতী, প্রেমিকা ও বন্ধু হতে পারবে, 
তখন তুমি কোনও রূদ্রবীণার কাছে গান অথবা স্বপ্ন হতে পারবে 
নদীর পারে দাঁড়িয়ে যদি তুমি ওপার দেখতে না পাও 
আকাশের দিকে তাকিয়ে নক্ষত্রগ্রহে যদি চাঁদ পাও 
তর্জনী দিয়ে কপাল ছুঁতেই চক্রধর এসে বসল
ধরো, তুমি তাকে প্রণাম দিলে কপাল দিয়েই,
গাছের নীচে তুমি আছ অনেকক্ষণ-- শহর শহরতলির গ্রাম তোমাকে চিনতে পারছে না
তুমি গাছ হয়ে আছ--তোমার বাজনা কেউ শুনতে পাচ্ছে না
একবার  সুরটা ভুল করো--একবার উচ্চারণ ভুল করো, লোকে তাকালে
একবার প্রথাগত ছোঁয়া ভাঙ--জীবনকে একটু ভাঙো সন্ন্যাসী বাউল 
মনে করো, ঘুম ভাঙলেই স্বপ্নের জন্ম হয়
এত নৈঃশব্দ্যের মধ্যে আহত পাখির মতো চেঁচিয়ে ওঠো
ভোর হয়েছে বলেই দিনের জন্ম হবে এমন নাও হতে পারে
পশ্চিমের চাঁদ কি বলল, ভেব না--ওদের মধ্যরাতে দিন শুরু 
তোমার দিনের শুরু সূর্যস্নানে--সাইরেন নয়, কর্ম কোনও যুদ্ধ নয়,
কর্ম এক যোগ-- জ্ঞান-জ্যোৎস্নার ভেতর পাখির স্বর,  এটা কৃষিসভ্যতার দেশ 
এখানে সবটাই মাটি, এখানের সবটাই গার্হস্থ্য মাটি, সন্ন্যাসী এখানে সৈনিক 
এখানে কবিরা সৈনিক
অনন্ত কাল ধরে মানুষ-পথিক কেবল জিজ্ঞেস করে, ভালো আছো?
কী আশ্চর্য এই সম্বোধন এই সুপ্রভাত! এই শুভসন্ধ্যা আহা, মেঘের পাথর ভেঙে জল নেমে আসছে
জীবনের এই আওয়াজ--এই আশ্চর্য গান, গানজন্মের চেয়ে জীবনের আর কি স্বপ্ন আছে বলো!
 
 
 
 তিন 
 
 সূর্যের দিকে তাকিয়ে চেয়েছি আমার থেকে জ্যোৎস্না নামুক।
আমি মেঘের দিকে তাকিয়ে ভেবেছি আমার থেকে বৃষ্টি নামুক 
এটাই আমার জন্মসুখ--এটাই আমার বোধ এবং আস্পৃহা। 
আমার মতো অনেকেই পথিক হতে চায়--সমুদ্রের কাছে পৌঁছাতে চায়।
কত আর হাঁটবে মানুষ--একটা গাঙের যাত্রী হতে পারে যদি, তবে গাইবে।
আমি জ্ঞানকে বিষুব সূর্য ভেবেছি-- জ্ঞান আগুন নয়, জ্ঞান আমার কাছে অগ্নি।
আলো নয়, জ্যোতি চেয়েছি-- কবিতা আমার কাছে জ্যোতিস্বরূপ।
যেন রুদ্রবীণার মতো দাঁড়িয়ে আছে একটার পর একটা গ্রাম।
আমি  শবের  মতো ভেসে চলেছি--কে তুমি আমার পাশে বেহুলার গান 
কে তুমি আমার পাশে সাবিত্রীর স্বরধ্বনি ? আমার শরীর ভেঙে যাচ্ছে ঢেউয়ে
কে তুমি স্রোতের কলতান ভেঙে দিচ্ছ ঢেউয়ের কলরব?
সংগীত আর বাজনা মিলে মিশে জন্ম নিচ্ছ তুমি, হরগৌরীর সত্যপীঠ। 
 
 
 
চার 
 
একটি নদী  তোমার নাম --এই  ভেবে আমি সকল নদীকে ছুঁয়ে দেখি গান,
স্নান সেরে নয়নজুলি থেকে পদ্ম তুলেছি--গায়ে হলুদ শোনো, আমি এই রোদের পিঁড়িতে বসেছি।
আমার মা সারাজীবন একটি আসন বুনে গেছে।
ভালোবাসার জন্য এই সংসারে আলাদা করে প্রদীপ জ্বালতে হয় না, হয়নি।
কে দিয়েছে নদীজন্ম? ম্যানমেড নয়--সে তো অনেক আকাশের গল্প, তাপচাপের গল্প। 
আমি একে আরাধনা বলি--আকাশের ধর্ম আর মানুষের সংগঠিত ধর্ম এক নয়,
বলতেই পারো আকাশ জমিন ফারাক আছে।
মাটি থেকে জল তুলে আনা যত সহজ--আকাশ থেকে জল নামানো অত সহজ নয়।
মাটিতে থাকে চিন্তন--আকাশে থাকে বোধ
মাটিতে থাকে বিজ্ঞান--আকাশে থাকে দর্শন 
এই যাকে প্রেম বলো কবিতা বলো--আসলে তো আলোর চেতনা
করতল মেলো--অই সকল নদীর হৃদয়--ছোট ছোট আবেদন কলতান হয়ে ভেসে যায়।
তোমার আমার সকল স্পর্শ--সকল ছোঁয়াছুঁয়ির হোক জয়।
 
 
 পাঁচ 
 
তোমার সকল চঞ্চলতা বুকেই নিলাম--তুমি আমার বুকের জিনিস 
তাই তোমাকে বুকেই রাখলাম হেনাফুলের গন্ধ
তাই তোমাকে বুকেই  রাখলাম সোনালী নদীর ঢেউ
তোমাকে স্মরণ করলেই কদম পাতা কাঁপতে থাকে
আমার  আশপাশের প্রতিবেশি গাছগুলো বাজনার মতো বাজতে থাকে
ওদের জন্যই তোমার শরীরের পিপাসার জন্মকথা জানি
মধ্যরাতে জেগে উঠে যখন পাতায় পাতায় তুমি যখন ভ্রমণে যাও কলস কাঁখে 
তোমাকে আমি অনুসরণ করি বাঁশির সুর 
তোমাকে স্মরণ করে আমিও চাঁপাফুলের গন্ধ  বাতাবীফুলের মৌতাতে আকাশের সব মেঘকে প্রেমের উৎস করি
ভালোবাসা পেতেই তো মেঘ অভিসারে যায় 
সাগরের লোনাশরীর থেকে উঠে এলেও সব প্রেম যেন মেঘের শরীর
শরীর চাই এক দৃশ্যের মতো--সেই দৃশ্যের গভীরে এই স্রোত আছে 
হয়তো বাইরে ভাগীরথী ভেতরে ফল্গু 
হয়তো বাইরে বেহালার ছড় ভেতরে রুদ্রবীণার ওঁ
তুমি নটরাজের কবিতার নৃত্যে কাঁপছ--যত কাঁপছ তত আমি স্পন্দিত হচ্ছি 
তত আমি নিজের সতীর শরীর বিষ্ণু চক্রে কেটে কেটে ছড়িয়ে দিচ্ছি
আমার সকল কবিতাই তাই, তোমার সতীর শরীর, তীর্থর্পীঠ।
 
 
ছয়
 
সকল ধ্বনির প্রতিধ্বনি হওয়ার  সম্ভাবনা থাকে 
যত দূরত্বে দাঁড়ালে আগুনের বদলে আলো আসে
সকল নারীর পায়ে নূপুর বাঁধা থাকে--পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই শোনা যাবে এমন কোনও কথা নেই।
বুকের স্পন্দন না শোনা গেলে নূপুরের ধ্বনি শোনার কথা নয়। 
আকাশে চাঁদ থাকলেও তোমার দেখার যে সৌভাগ্য হবে এমন কোনও  কথা নেই।
হয়তো তুমি বসে আছ এমন এক সুখ সুখ উষ্ণ উষ্ণ ছাদ ও দেয়ালের ভেতর 
যেখানে কোনও শব্দ প্রবেশ করে না--যেখানে হাজার বছর সভ্যতার প্রবেশের অনুমতি নেই।
সেখানে নকল চাঁদের ভীষণ আনাগোনা।
সেখানে ভীষণ বিষহীন সাপের মায়া-খেলা।
ধ্বনি যদি না শুনতে পাও তবে তুমি সুরের কেউ নও
হয়তো অমাবস্যার মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছ, তাই রাহুকে পেয়েছ পাশে।
রাহুর লালায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছ--ঘামের গন্ধে…
 
 
সাত
এবার যেখানেই যাও--যেখানেই বেড়াতে যাও আমাকে সঙ্গে পাবে
যত নির্জন হবে তত আমি তোমার চোখের পাতায় পাতায় বাজব
চোখ বুজলে আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেব
আমি কারো ধার করা সুরে বাঁশি বাজিয়ে কখনও ঘুম পাড়ানোর চেষ্টাও করব না।
যেখানে সকল ভ্রমণ পিপাসুরা পুজো ইদ বা বড়দিনের  পরে বেড়াতে যায়, তুমি যাবে না জানি,
ঠিক সেইজন্য কোনও নির্জন পাহাড়ী উপত্যকায় অথবা ধরো দ্বীপটার নাম সরষেখেত বা নদীসঙ্গমের নাম মেলডি-হার্মনি,
মোহনার চরে পুষ্পিতা নামক এক বাগানে বসে আছ,
ওড়নাকে আঁচল ভেবে মাথা ঢেকেছ--বৃষ্টিতে ভেজার তোমার ইচ্ছে নেই, অথচ ভিজছে কানের দুল
তুমি সব ঠিকানা ভুলে আমার দিকে চেয়ে ঠিকানাহীন হলে
তোমার মনে হচ্ছে কোনও নদীর ঘূর্ণিজলের মধ্যে আমাদের দেখা হয়েছিল।
কখনও মনে হচ্ছে জাহাজ ডুবি হল বারমুডা টেঙ্গেলে
তুমি আমি ভাসতে ভাসতে মধ্য সমুদ্রে
তুমি বললে : এবার বুকে সূর্য নিয়ে আমরা মেঘ হব বৃষ্টি হব--কোন বীজের পিপাসা মেটাব।
আমি কেবল পেছন ফিরে বৃষ্টিছায়া পাহাড়ে আমার রেখে যাই এক এক স্মৃতিফলক।
 
 
আট 
 
রবীন্দ্রনাথ সেই চল্লিশ পেরিয়েছেন, স্ত্রী বিয়োগ হল।
খুব যে তিনি স্ত্রী-পাগল ছিলেন এমন নয়, তবু যেন ভেতরে ভেতরে অন্য এক বধূ-- 
কোনও ফুলের নূপুরের ধ্বনি নিয়ে বেজে যেত জলতরঙ্গ। 
এই ধ্বনি থেকে সুরে রাগে তিনি মধ্যরাত থেকে ভোর কেবলই নিজেকে বৃক্ষের বাকলে জড়িয়ে ধরলেন।
অনেকেই চেয়েছিলেন তিনি দার পরিগ্রহ করুন--শঙ্খধ্বনি হোক। 
কেবল একজন চাননি--তিনি ঈশ্বর।
তিনি এক আশ্চর্য অরণ্য নির্মাণ করার জন্য সুপ্রাচীন ভূমি সংরক্ষণ করেছিলেন।
তিন জন রমণী ফুল ও মালা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।  
রবীন্দ্রনাথ কোনও অবস্থাতেই কোনও শর্তের কাছে ফিরে যাননি।
এক বীণার ধ্বনিতে ভেসে যাচ্ছে মেঘ--তার উপর আলো পড়েছে
এক আলোর নৈঃশব্দ্যে ভেসে যাচ্ছে সুর--তার উপর রশ্মি পড়েছে 
রবীন্দ্রনাথ দেখলেন উপমহাদেশের মানচিত্রে বসে আছেন এক সুফি বাউল 
এক তারায় তাঁকে মানিয়েছে বেশ--আগুনে আগুনে বেশ রঙ লেগেছে…
 
 
নয়
 
খিড়কি দরজা খুলতেই  মুঘল বাগানের সৌন্দর্যে তোমাকে চোখে পড়ল।
গোলাপ হয়ে ফুটেছ বেশ--লাল গোলাপের মতো দিন সাদা গোলাপের মতো রাত ফুটেছ বেশ।
আমি এদিকে ওদিকে চোখ ঘুরাতে পারছি না আর, মনে হয় কোথাও যেন ভেসে চলেছি।
আমার চারপাশে যে সব বন্ধু বান্ধব ছিল নমস্কার, সালাম সুপ্রভাত ছিল, তারা সব কোথা গেল!
আমার শরীরে এত যে হুইস্কিমাটন রামচিকেন শুয়োরকামনা ছিল, তারা সব কোথা গেল!
ভোরটার কথা মনে আছে আমার--আমার এক ফল্গু ধারার নদীর পাশে কন্বমুনীর আশ্রম ছিল।
আমি কিশোরেবেলায় চেয়েছিলাম রবীন্দ্রনাথকে কণ্ঠে নিয়ে লালনের আখরায় ঢুকে পড়ব।
আমি তো রাস্তা ধরে হাঁটছিলাম--চোখ আমার মাঝে মাঝে বুজে আসছিল--এমন সময় রুদ্রবীণার মতো কেউ  যেন বেজে উঠল।
অনেক মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে আমি হেমন্ত শীতের ভেতর জীবনানন্দ সুবিনয় পেরিয়ে এসেছি
এই জীবন্ত বাগান থেকে তুমি যদি হারিয়ে যাও তবে সকাল দুপুর বিকেল বা গোধূলি বলে আমার কিছু থাকবে না।
শুকতারার মতো কেউ আসবে না জানি, তবু তুমি সন্ধেতারার মতো এস এই বাগানে,
নক্ষত্রযুগল হয়ে বশিষ্ঠ অরুন্ধতির মতো পাশাপাশি অন্য আকাশ জয় করতে চাই,বন্ধু। 
 
 
দশ 
 
তুমি যদি আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে থাক বন্ধু, আমার নিগূঢ় বিশ্বাস আমাদের ভুবনে আর সূর্যাস্ত হবে না।
তুমি যখন আধা শুকনো পাতা ঝরার সুরে কথা বলো, তবে আমি ভেবে নেব আমার কথা ভেবেই ভেবেই তোমার রাত দুটো...
চাঁদ জেগেছিল বলে তুমি যে ঘুমাতে যাবে না এমন তো কোনও কথা নেই বন্ধু--কাকে তুমি তোমার নৌকোয় চড়িয়ে এপার থেকে ওপারে নিয়ে যেতে চাও!
তোমার নৌকোর পালটি কী আশ্চর্য সবুজ--এতটুকু অন্ধকার স্পর্শ করে নেই
যে জাতির বুকে সূর্য থাকে তাকে কখনও রাত্রির অন্ধকার স্পর্শ করে না
এই যে গাছের ছায়া পড়েছে তার মধ্যে ঢুকে পড়ছে ঝিলমিল আলো--নদীর দুপারে সারি সারি গাছ,
তুমি যেন সারা শরীরে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে ময়ূরের মতো উড়ে যাচ্ছ 
আমি যেন সেই বাহনের মতো বসে থাকি শিবসন্তান কার্তিক-- গৌরীর চোখে তাকিয়ে আছ শঙ্খিনী
এত দিন তো ছিল না আমার--প্রেমে দিনগুলো বড় হয় জানি, তুমি যেন রাতের শরীর থেকে অন্ধকার মুছে দিলে
তোমার সমস্ত শরীর জুড়ে লক্ষকোটি ওম ওম ধ্বনি।

মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...