গদ্য

গদ্য

sambhunath chattapadhyay

শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায় চলে যাবার পরে সম্ভবত আমরা কেউ কেউ অনুভব করতে পেরেছি তাঁর কবিতার মতো, তাঁর থাকাটিও আলতো ছিল। যেমন আলতো ছুঁয়ে থাকে পেনসিল হারিয়ে ফেলার সেই কবেকার স্মৃতি, যেমন ছুঁয়ে থাকে আমাদের সমস্ত ঘুমের ভেতর বিকেলের শেষ রোদ, ঠিক তেমনি করেই আলতো ছুঁয়ে থাকাটি ছিল শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের। কবিতার মধ্য দিয়ে। হ্রেষাধ্বনি ছুটিয়ে যেসব অবশ্যম্ভাবী কবিতা ইতিপূর্বে এসেছে, তাদের থেকে অনেকখানি সরে পায়ে হেঁটে এসেছে তাঁর  কবিতা। তিনিও কি নন? সে-হাঁটাতে লেগে আছে ধুলো। লেগে আছে ভোরের শিশির। পাখির বাসা। জাজিমে বসবার জন্য যেইসব লেগে-থাকাদের ধুয়ে ফেলেন নি তিনি। যেভাবে এসেছিলেন, সেভাবেই থেকেছেন, চলে যাওয়াটিও ঠিক সেই ভাবেই। আলতো। একটু অগোছালো ভাবে। যেন এমন একটি মনোভাব, এলুম, যেতে বললে চলে যাবো।

...

 iswarchandra vidyasagar

 
আলোর উৎস থেকে আস্তে আস্তে যতদূরে যাওয়া যাবে ততই আলোর দীপ্তি ক্রমে কমতে কমতে একসময় আর আমাদের চোখে পড়বে না। ব্যতিক্রম সূর্য। দূরে থাকা সত্ত্বেও তার রশ্মির দিকে তাকানো যায় না। এমনই এক ব্যতিক্রমী আলোকোজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব বিদ্যাসাগর। তাঁর অবিনাশী অস্তিত্ব ও কীর্তির উদ্ভাস আজও অম্লান। শুধু জন্মের দুশো বছর পরে নয়, সমাজে যতদিন শিক্ষার অভাব, দারিদ্র ও মনুষ্যত্বের অবমাননা, নারীদের প্রতি উপেক্ষা থাকবে, যতদিন ধর্ম বা শাস্ত্রের নামে কদাচার সংকীর্ণতা থাকবে, যতদিন মানুষ পৌরুষ আত্মপ্রত্যয় ও উদ্যমের অভাবে নতশির, ততদিন আমাদের বিদ্যাসাগরের স্মরণ নিতেই হবে।
     বিদ্যাসাগরের যুগ থেকে এগিয়ে এসে পেছন ফিরে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে...

 iswarchandra vidyasagar

 
এক অভূতপূর্ব অবস্থার মধ্যে দিয়ে আমরা চলেছি। করোনা আজ মহামারীর রূপ নিয়ে গোটা বিশ্বে জীবনযাত্রাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। দাঁড়িয়ে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। থমকে গেছে বিশ্বের সংস্কৃতি চর্চা। সামাজিকতা আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। অন্ধকার ভবিষ্যৎ হাতড়ে আশার আলো খোঁজার আপ্রাণ চেষ্টা। এর মাঝেই একে...

 kobi binay majumdar mohool in

কবি বিনয় মজুমদারকে আমি দেখিনি, কিন্তু এই মানুষটিকে নিয়ে আমার তুমুল বিস্ময়। একজন কবি কীরকম হবে? শুধু কি সাদা পাতার উপর লেখা থাকবে তাঁর কিছু  মায়াবী অক্ষর? সেই অক্ষরের ভেতর আলো ফেলে ফেলে আমরা কবিকে খুঁজব? আর মুগ্ধ হব তাঁর  সাবালক আলোকিত অভিনয়ে? মিথ্যাবর্ণ আয়োজনে? হাততালি দিয়ে উঠব...

 kobi binay majumdar mohool in

কবি বিনয় মজুমদারের জন্ম ১৯৩৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, বাংলা ৩১ এ ভাদ্র, ১৩৪১ তৎকালীন বার্মা অর্থাৎ বর্তমানের মায়ানমারের মিকটিলা জেলার তেডো শহরে। তাঁর পিতার নাম বিপিনবিহারী মজুমদার এবং মায়ের নাম বিনোদিনী মজুমদার। বিপিনবিহারী তখন বার্মার পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টে ওভারসিয়ারের  চাকরি...

 
 
 kobi binay majumdar mohool in
 
 
 
পৃথিবী নামক গ্রহটি আমাদের কাছে চিরদিন রহস্যময়। আর এই রহস্যময়তার ছবি খুব বেশি করে দেখেছিলেন কবি বিনয় মজুমদার। তাঁর সূর্যাস্ত-সূর্যোদয়, দিন-রাত্রি-ভোর এবং গোধূলির সময় নিরীক্ষাকে তিনি আপন অনুভূতির সরল সমীকরণে ধরেছিলেন। এমনকী সেখানে চন্দ্রগ্রহণ -...



আমাদের  কিশোরবেলায়  প্রেম তো দূরস্থান। শব্দটি  বড়দের  কাছে  উচ্চারণ করাও  ধৃষ্টতার সামিল ছিল।  অন্যান্য  মায়েরা  তাদের  সন্তানকে গোপাল, নাড়ুগোপাল, সোনা, মানিক বলে  ডাকলেও  কী জানি  আমার মা আমাকে  মুখপোড়া  ছাড়া&nbsp...

Subcategories

Page 1 of 5

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...