স্বরবর্ণ কিংবা কালোবিড়াল ।। মলয় পাহাড়ি



 

খোলাপিঠ। একটা অনন্ত  ক্যানভাস। একগুঁয়ে। এখন সে কোন রং ছোঁবেনা , এখন ব্লকেজ। অথচ সে ই অজানিত ভাবে নির্জন সেলফি ঝুলিয়ে দিচ্ছে দেওয়ালে ,করিডোরে। হিলস্টেশনে মেঘ ঝুলে আছে। বৃষ্টি নামছে না। এ দৃশ্যের কাছে শিল্পী বন্দী। দশ আঙুলে এতো রং, মননে ক্ষুধা ! তবুও স্থবির ক্যানভাস তবুও শিল্পী! একটা স্থিরচিত্র। 

 
রিঙ্কু ও রিঙ্কি। একটা স্বরবর্ণের ব্যবধান। একটা ছোট্ট টাচ ,গতিবদল। ক্যানভাস ও শিল্পী ,দুজনেই নতুন, উজ্জ্বল ও ভীরু। ক্যাম্পাস অমোঘ, ক্যাম্পাস ই সম্পর্ক। দুজনের জানশোনা হয়। ছেলেটির আঙুলের রং মেয়েটির পিঠে এসে লাগে। স্বরবর্ণ জুড়ে জুড়ে একটি বর্ণমালা লেখা হয়।কালারফুল কাব্য। 
 
ক্যানভাসের রং যখন কাঁচা তার উপর দিয়ে একটা কালো বিড়াল হেঁটে যেতে পারে। যায় তো।
মায়ের চোখ খারাপ হয়ে যায়, বাবার মাথা, বাজারের ঘড়ি আর জলের কল। পরীক্ষার আগে বাতাসে গরমকাল আর লোডশেডিং, এবং পুজো নামক আশ্চর্য হল্লা। 
 
এ সময়টাতেই বাতাসে পেঁচার গন্ধ, সব বাইরে জানাজানি হয়ে যায় --শিল্পী ,ক্যানভাস, ছবি, বাজারমূল্য, ক্রিটিক, চুম্বন, বিছানা সব। সব।
এক্সিবিশনের আগে  অলরেডি এক্সিবিটেড। আলোয় ধুয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পাস। এবার মুখোমুখি হওয়ার  সময়। ক্যানভাসের মুখোমুখি কি দাঁড়ানো যায়?
  রাত্রে রেপ হয়ে গেছে, এখন রাজনীতির সময়। মা সাবেকি তাস খেলেছেন, ডেবিট কার্ড ব্লকড। জন্মঋণ মনে করাচ্ছেন আত্মীয়রা। আত্মীয়! কে?
বুকের এতো ওজন, এত ভার জানাছিল না। এখন কান্নার সময় নয়, একা থাকতে ভাল লাগে, ভাল লাগে? " চাকরির জন্য সবকিছু করা যায়, কোনকিছুর জন্য চাকরি হারানো চলে না "কে বলেছিল কথাটা! জাতীয় পতাকার ছেঁড়া টুকরো, গাছের খসে যাওয়া পাতা, পথের উপর পড়ে থাকা বটকা রক্ত, গাছের খসে যাওয়া ফুল, ডেঙ্গির ভ্রুণ, গাছের খসে যাওয়া ফল, মিড ডে মিলের চাল বিক্রেতা, গাছের খসে যাওয়া ছাল, প্লাস্টিকের বাটি গ্লাস আর গোলাপি কণ্ডোম, গাছের খসে যাওয়া তরুক্ষীর, লাইনার ও রুজ এ ঢাকা দেওয়া চড় ও অপমান, গাছের দাঁড়িয়ে থাকা মৃত কাণ্ড ডিঙিয়ে কী শাদা জামা পরেছি, কলারের একটা বেতন আছে, শৈলেন কিছু তো শেখ  !
 
মুখোমুখি বসলে আমি তোমাকে পড়ে ফেলি, তোমার মুখে একটা হারামি বসে থাকে, তুমি ও আমার মুখ দেখে  বুঝে যাও   আমার  ভেতরের হারামিকে। তাই তো আমরা বন্ধু হতে পেরেছি!
 
আমাকে খোলা পিঠ দিও, তুলি কিংবা ঠোঁট , তুমি ভাববে এটা আদর, আদর ই তো, আমি কতো কি তবে ভুল বুঝেছিলাম ! কিংবা ভাবছো শয়তান, হারামির বাচ্চা। চোখের কোলে জল কিংবা খুন, আমি জানছি না...
 
আমি নখ দিয়ে তোমার পিঠ ছিঁড়ছি, ঠোঁট বুলিয়ে  লাল রক্তে নপুংসক  আঁকছি , আমি যে মরে যাচ্ছি, একটু ভালোবসছি, কাঁদছি  তুমি জানছ না...

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...