স্বপ্নালু চোখে খুঁজি ।। নিরঞ্জন জানা


স্বপ্নালু চোখে খুঁজি 
নিরঞ্জন জানা

দেখা না করে বাইরে যাওয়া কিংবা বাড়িতে ফিরলে আমার পায়ের শব্দ শুনেই কি করে যে বুঝে যেত--অবাক হয়ে যেতাম! যতক্ষণ না গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে দিই ততক্ষণ তার বকবকানি শুনতেই হোত। আমার আঙুলের ডগায় বুলিয়ে দিত তার তুলতুলে নরম জিভ। গায়ে শিহরণ-মনে পুলক -আত্মবিস্মৃত হয়ে যেতাম। সে আমার কৈশোর আর যৌবন বেলা ছুঁয়ে আছে। পড়শি গ্রাম থেকে ভেসে আসা আজানের সুরে তার ঘুম ভাঙ্গত। বলত পক্ষীভাষায় অনর্গল কথা। ঘুম ভাঙ্গাত আমার। "চুপ কর, পড়ছি "-বললে তবেই থামত।
স্বাধীনতার এক সকাল। রেডিও তে বাজছে "স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে"। সত্যি তো এভাবে ভাবিনি। খাঁচা খুলে দিলাম। মুক্ত,স্বাধীন। না,পারল না। উড়তে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল। বলি,"ওঠ,ওড়না কৃষ্টদাস।" নীল আকাশে সবুজ ডানা মেলে উড়ে যায়। চোখের কোন চিকচিক করে।দুঃখে
না আনন্দে--জানি না।
আশাহত। আনমনা। জারুল পাতায় বিষণ্ণ রোদ পড়েছে। তোয়া বলে," বাবা,দেখবে এসো।"
উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে যাই। হঠাৎ দেখি-- ফিরে এসেছে কৃষ্টদাস । বিহ্বল দৃষ্টি। চেনা শিস্। সেই ডাক। আকুতিভরা অনুভূতির কথা মুখ। কাঁধে এসে বসে।তারপর দীর্ঘ দু'দশক পর। একদিন চলে যায় আমাদের কাঁদিয়ে যেখান থেকে আর ফেরা যায় না। বাড়ি ফিরলে ওর অপেক্ষার চাহনি আজো ভুলিনি। খেতে বসলে এখনো ওর কথা মনে পড়ে। জীবনের খাঁজে খাঁজে লেগে থাকা আদুরে ভালোবাসা মনের জানালা দিয়ে স্মৃতি হয়ে ঢুকে পড়ে। স্বপ্নালু চোখে তাকিয়ে থাকি যদি "ও" আসে ...। "দোসর সুতো ছিন্ন করে সুজন গেল কোন পারে দিল দরিয়ায় বাউল মাঝি মন খারাপের গান ধরে।"

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...